![]() |
Shalbari Mosque |
ঐতিহাসিক শালবাড়ি মসজিদ (Shalbari Mosque) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে ভাউলারহাটে অবস্থিত। ১২১৫ বাংলা (১৮৮৮ খ্রি) সনে শিলালিপির তথ্যঅনুসারে শালবাড়ী মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। শালবাড়ি মসজিদটি পরবর্তীতে সংস্কার করার সময় মসজিদের মূল নকশা বিপুল পরিবর্তন সধিত হয়। এই শালবাড়ি মসজিদ থেকে কিছুটা দূরে ভগ্নাবস্থায় একটি ইমামবাড়া (Imambara) রয়েছে। শালবাড়ি মসজিদ ও ইমামবাড়া এই দুটি স্থাপনাকে সমসাময়িক বলে ধারনা করা হয়। এই মসজিদের চারপাশে প্রচুর শাল গাছ রয়েছে,এর জন্য হয়তো জায়গাটির নাম শালবাড়ি। এই মসজিদের নির্মাতা ছিলেন পূণির্য়া জেলার শীতলপুর জমিদারের বংশধর। তারা সবাই সিন্দুরা গ্রামে বসবাস করতেন। বর্তমানে শালবাড়ি মসজিদে সংস্কার করা হয়। এই মসজিদটিকে পূর্ব দিকে প্রসারিত করা হয়েছে। ১৯৯৪ সালে পশ্চিম দিকের বর্হিদেয়ালে মিহরাবের বধিত অংশটি নির্মাণ করা হয়।
শালবাড়ী মসজিদটি বর্গাকৃতির। এই মসজিদের বাহিরের দিকে আয়তন ৫.২০ মি × ৫.২০ মি। মসজিদের পূর্ব দিকে ছিলো ১.২০ মি প্রস্থ বিশিষ্ট বারান্দা। বর্তমানে এই মসজিদের বারান্দাকে একটি কক্ষে রূপান্তরিত করা হয়েছে। শালবাড়ী মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করার জন্য ৩ টি খিলান রয়েছে। এই মসজিদের মাঝের খিলানের প্রস্থ ০.৭০ মিটার এবং এর উচ্চতা ২.১৫ মিটার। পাশের দুটি খিলান সমমাপের এবং মাঝের খিলানটির তুলনায় অপেক্ষাকৃত ছোট। শালবাড়ী মসজিদের কার্নিস সমান্তরাল। গম্বুজের ব্যাস ১৫.৩০ মিটার। এই মসজিদের চার কোণে রয়েছে ৪ টি কর্ণায় টাওয়ার। মসজিদের ভিতরে পশ্চিম দিকে রয়েছে ৩ টি মিহরাব। মাঝের মিহরাবটি পাশের দুটি মিহরাব এর চেয়ে বড়। মসজিদে উত্তর ও দক্ষিণে রয়েছে দুটি জানালা এবং মসজিদের সমস্ত দেওয়ালে প্লাস্টার করা।
ইমামবাড়ার বাহিরের অংশে দৈর্ঘ্য ১৯ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং এর প্রস্থ ১৩ ফুট। এছাড়াও ইমামবাড়ার পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দেওয়ালে ২ টি করে ৪ টি এবং উত্তর ও দক্ষিণে ১ টি করে ২ টি দরজা রয়েছে। এই ইমামবাড়ায় বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে।
কিভাবে যাবেনঃ
ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক ও রেলপথে ঠাকুরগাঁও যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও এর উদ্দেশ্যে যেগুলো বাস যায় সেগুলো হলো - হানিফ এন্টারপ্রাইজ,বাবলু এন্টারপ্রাইজ,কর্ণফুলী পরিবহন,নাবিল পরিবহন,কেয়া পরিবহন, প্রভৃতি বাসগুলোতে যেতে পারেন। ঠাকুরগাঁও জেলা শহর হতে অটোরিক্সা বা সিএনজি নিয়ে ভাউলারহাটের কাছে অবস্থিত শালবাড়ী মসজিদে যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেনঃ
ঠাকুরগাঁও নর্থ সার্কুলার রোডে হোটেল সালাম ইন্টার ন্যাশনাল,হোটেল শাহ্ জালাল, হোটেল প্রাইম ইন্টারন্যাশনাল ও হোটেল সাদিক সহ বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে।
বাহেলা মসজিদ, বেলকুচি: ইতিহাস, সৌন্দর্য ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শ (Bahela Mosque)
কোথায় খাবেনঃ
ঠাকুরগাঁও ভাউলারহাটে হালকা চা-নাস্তা করার মতো কিছু দোকান রয়েছে। তবে ঠাকুরগাঁও জেলা সদরে গাউছিয়া হোটেল, হাজী বিরিয়ানি হাউজ, নিউ সুরুচি হোটেল প্রভৃতি ভালমানের খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেলার দর্শনীয় কিছু স্থানঃ
ঠাকুরগাঁও জেলার অনান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে - বালিয়াডাঙ্গী সূর্যপূরী আমগাছ, ফানসিটি,বালিয়া মসজিদ, লোকায়ন জীবন বৈচিত্র্য জাদুঘর উল্লেখযোগ্য।
সর্তকতাঃ
যানবাহনের ভাড়া,হোটেলও রিসোর্ট ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে অনেক সময় পরিবর্তন হয়ে থাকে। এর কারণে ইসলামী ব্লগ বিডিতে প্রকাশিত তথ্য বর্তমানে সাথে মিল না ও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনারা যখন ভ্রমন করতে যাবেন তখন আপনারা একটু খোঁজখবর নিয়ে বাসা থেকে বের হবেন। এছাড়াও আপনাদের সুবিধার ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাধ্যমে হোটেল, রিসোর্ট,যানবাহনের মোবাইল নম্বর দিয়ে থাকে। আপনারা এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেন করার আগে যাচাই করে নেবার জন্য অনুরোধ করা হলো। কোনো আথিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্য www.islamiblogbd.com দায়ী থাকবে না।
No comments:
Post a Comment