Showing posts with label মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন. Show all posts
Showing posts with label মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন. Show all posts

শালবাড়ী মসজিদ ও ইমামবাড়া (Shalbari Mosque)

Shalbari Mosque

ঐতিহাসিক শালবাড়ি মসজিদ (Shalbari Mosque) ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে ভাউলারহাটে  অবস্থিত। ১২১৫ বাংলা (১৮৮৮ খ্রি) সনে শিলালিপির তথ্যঅনুসারে শালবাড়ী মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। শালবাড়ি মসজিদটি পরবর্তীতে সংস্কার করার সময় মসজিদের মূল নকশা বিপুল পরিবর্তন সধিত হয়। এই শালবাড়ি মসজিদ থেকে কিছুটা দূরে ভগ্নাবস্থায় একটি ইমামবাড়া (Imambara) রয়েছে। শালবাড়ি মসজিদ ও ইমামবাড়া এই দুটি স্থাপনাকে সমসাময়িক বলে ধারনা করা হয়। এই মসজিদের চারপাশে প্রচুর শাল গাছ রয়েছে,এর জন্য হয়তো জায়গাটির নাম শালবাড়ি। এই মসজিদের নির্মাতা ছিলেন পূণির্য়া জেলার শীতলপুর জমিদারের বংশধর। তারা সবাই সিন্দুরা গ্রামে বসবাস করতেন।  বর্তমানে শালবাড়ি মসজিদে সংস্কার করা হয়। এই মসজিদটিকে পূর্ব দিকে প্রসারিত করা হয়েছে। ১৯৯৪ সালে পশ্চিম দিকের বর্হিদেয়ালে মিহরাবের বধিত অংশটি নির্মাণ করা হয়। 

শালবাড়ী মসজিদটি বর্গাকৃতির। এই মসজিদের বাহিরের দিকে আয়তন ৫.২০ মি × ৫.২০ মি।  মসজিদের পূর্ব দিকে ছিলো ১.২০ মি প্রস্থ বিশিষ্ট বারান্দা। বর্তমানে এই মসজিদের বারান্দাকে একটি কক্ষে রূপান্তরিত করা হয়েছে। শালবাড়ী মসজিদের ভিতরে প্রবেশ করার জন্য ৩ টি খিলান রয়েছে। এই মসজিদের মাঝের খিলানের প্রস্থ ০.৭০ মিটার এবং এর উচ্চতা ২.১৫ মিটার। পাশের দুটি খিলান সমমাপের এবং মাঝের খিলানটির  তুলনায় অপেক্ষাকৃত ছোট। শালবাড়ী মসজিদের কার্নিস সমান্তরাল। গম্বুজের ব্যাস ১৫.৩০ মিটার। এই মসজিদের চার কোণে রয়েছে ৪ টি কর্ণায় টাওয়ার। মসজিদের ভিতরে পশ্চিম দিকে রয়েছে ৩ টি মিহরাব। মাঝের মিহরাবটি পাশের দুটি মিহরাব এর চেয়ে বড়। মসজিদে উত্তর ও দক্ষিণে রয়েছে দুটি জানালা এবং মসজিদের সমস্ত দেওয়ালে প্লাস্টার করা। 

ইমামবাড়ার বাহিরের অংশে দৈর্ঘ্য ১৯ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং এর প্রস্থ ১৩ ফুট। এছাড়াও ইমামবাড়ার পূর্ব ও পশ্চিম দিকে দেওয়ালে ২ টি করে ৪ টি এবং উত্তর ও দক্ষিণে ১ টি করে ২ টি দরজা রয়েছে। এই ইমামবাড়ায় বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে। 

কিভাবে যাবেনঃ

ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক ও রেলপথে ঠাকুরগাঁও যাওয়া যায়। ঢাকা থেকে ঠাকুরগাঁও এর উদ্দেশ্যে যেগুলো বাস যায় সেগুলো হলো - হানিফ এন্টারপ্রাইজ,বাবলু এন্টারপ্রাইজ,কর্ণফুলী পরিবহন,নাবিল পরিবহন,কেয়া পরিবহন, প্রভৃতি বাসগুলোতে যেতে পারেন। ঠাকুরগাঁও জেলা শহর হতে অটোরিক্সা বা সিএনজি নিয়ে ভাউলারহাটের কাছে অবস্থিত শালবাড়ী মসজিদে যাওয়া যায়। 

কোথায় থাকবেনঃ 

ঠাকুরগাঁও নর্থ সার্কুলার রোডে হোটেল সালাম ইন্টার ন্যাশনাল,হোটেল শাহ্ জালাল, হোটেল প্রাইম ইন্টারন্যাশনাল ও হোটেল সাদিক সহ বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে। 

বাহেলা মসজিদ, বেলকুচি: ইতিহাস, সৌন্দর্য ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শ (Bahela Mosque)

কোথায় খাবেনঃ

ঠাকুরগাঁও ভাউলারহাটে হালকা চা-নাস্তা করার মতো কিছু দোকান রয়েছে। তবে ঠাকুরগাঁও জেলা সদরে গাউছিয়া হোটেল, হাজী বিরিয়ানি হাউজ, নিউ সুরুচি হোটেল প্রভৃতি ভালমানের খাবার হোটেল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে। 

ঠাকুরগাঁও জেলার দর্শনীয় কিছু স্থানঃ

ঠাকুরগাঁও জেলার অনান্য দর্শনীয় স্থানের মধ্যে রয়েছে - বালিয়াডাঙ্গী সূর্যপূরী আমগাছ, ফানসিটি,বালিয়া মসজিদ, লোকায়ন জীবন বৈচিত্র্য জাদুঘর উল্লেখযোগ্য। 

সর্তকতাঃ 

যানবাহনের ভাড়া,হোটেলও রিসোর্ট ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে অনেক সময় পরিবর্তন হয়ে থাকে। এর কারণে ইসলামী ব্লগ বিডিতে প্রকাশিত তথ্য বর্তমানে সাথে মিল না ও থাকতে পারে।  তাই অনুগ্রহ করে আপনারা যখন ভ্রমন করতে যাবেন তখন আপনারা একটু খোঁজখবর নিয়ে বাসা থেকে বের হবেন। এছাড়াও আপনাদের সুবিধার ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাধ্যমে হোটেল, রিসোর্ট,যানবাহনের মোবাইল নম্বর দিয়ে থাকে। আপনারা এসব নাম্বারে কোনরূপ আর্থিক লেনদেন করার আগে যাচাই করে নেবার জন্য অনুরোধ করা হলো। কোনো আথিক ক্ষতি বা কোন প্রকার সমস্যা হলে তার জন্য www.islamiblogbd.com দায়ী থাকবে না। 

বাহেলা মসজিদ, বেলকুচি: ইতিহাস, সৌন্দর্য ও ধর্মীয় ঐতিহ্যের এক অনন্য নিদর্শ (Bahela Mosque)

 

বাহেলা মসজিদ
Bahela mosque 

বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে ইতিহাস আর ঐতিহ্যের গৌরবময় সাক্ষ্য। তেমনই একটি স্থাপনা হচ্ছে সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার বাহেলা ইউনিয়নে অবস্থিত বাহেলা মসজিদ। যার পূর্ননাম আল-আমান বাহেলা খাতুন জামে মসজিদ। ঐতিহাসিক, স্থাপত্যশৈলী ও ধর্মীয় গুরুত্ব—সব দিক থেকে এই মসজিদ একটি চমৎকার নিদর্শন।

মসজিদের পরিচিতি

বাহেলা মসজিদটি মূলত স্থানীয় মুসলিম সমাজের ধর্মীয় চর্চার কেন্দ্র হলেও, এখন এটি পর্যটকদের আগ্রহের এক বিশেষ স্থান হয়ে উঠেছে। মসজিদের অবস্থান বেলকুচি উপজেলার বাহেলা ইউনিয়নে, যা সিরাজগঞ্জ শহর থেকে কিছুটা দূরে হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় সেখানে পৌঁছানো এখন সহজ।

স্থাপত্য ও নির্মাণশৈলী

মসজিদটির স্থাপত্যে ঐতিহ্যবাহী ইসলামি স্থাপত্যের প্রভাব স্পষ্ট। এর দেয়ালে নজরকাড়া কারুকাজ, গম্বুজের নিখুঁত নির্মাণ ও মিনারগুলোর নকশা প্রমাণ করে এটি কেবল ধর্মীয় স্থাপনাই নয়, বরং একটি শিল্পকর্ম। মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করলেই এক ধরনের পবিত্রতা ও প্রশান্তি অনুভব করা যায়।

ধর্মীয় ও সামাজিক গুরুত্ব

বাহেলা মসজিদ শুধুমাত্র নামাজ আদায়ের স্থান নয়—এটি একটি ধর্মীয় ও সামাজিক মিলনকেন্দ্র। প্রতিদিন বহু মুসল্লি এখানে জামাতে অংশগ্রহণ করেন। রমজান মাস, ঈদ এবং ইসলামি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মসজিদটি becomes a vibrant center of activity.

তারাবির নামাযের দোয়া ও নিয়ম

পর্যটকদের জন্য আকর্ষণ

যারা বাংলাদেশের গ্রামীণ ঐতিহ্য ও স্থাপত্য ভালোবাসেন, তাদের জন্য বাহেলা মসজিদ একটি চমৎকার গন্তব্য। স্থানীয় বাজার, নদীর পাড় এবং আশপাশের সবুজ প্রকৃতি মিলিয়ে এটি একটি স্বস্তিদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা দেয়।

🛣️ কিভাবে যাবেন?

পাবনা থেকে বেলকুচি:

  • বাসে: পাবনা থেকে সিরাজগঞ্জগামী বাসে উঠে সিরাজগঞ্জ শহরে পৌঁছাতে পারেন। সেখান থেকে স্থানীয় পরিবহন (অটোরিকশা বা সিএনজি) ব্যবহার করে বেলকুচি যেতে পারেন।

  • ট্রেনে: পাবনা থেকে সিরাজগঞ্জ বাজার রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনে যেতে পারেন। স্টেশন থেকে বেলকুচি পৌঁছাতে স্থানীয় পরিবহন ব্যবহার করতে হবে।

সিরাজগঞ্জ শহর থেকে বেলকুচি:

  • সড়কপথে: সিরাজগঞ্জ শহর থেকে বেলকুচি উপজেলার মুকুন্দগাঁতি মহল্লায় অবস্থিত মসজিদটি প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত। সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর সড়ক ধরে সরাসরি গাড়ি বা অটোরিকশায় যেতে পারেন।


🍽️ কোথায় খাবেন?

বেলকুচিতে কিছু জনপ্রিয় খাবারের স্থান:

1. চাই মামা (ChaiiMama)

  • বর্ণনা: বেলকুচিতে অবস্থিত একটি জনপ্রিয় রেস্টুরেন্ট, যেখানে কাচ্চি বিরিয়ানি, ফাস্টফুড এবং স্ট্রিট ফুড পাওয়া যায়।

  • সময়সূচি: প্রতিদিন দুপুর ১১:০০ থেকে ২:৩০ এবং সন্ধ্যা ৫:০০ থেকে ১০:০০ পর্যন্ত খোলা থাকে।

  • ঠিকানা ও আরও তথ্য: chaiimama.com

2. যমুনা কিচেন অ্যান্ড ক্যাফে (Jamuna Kitchen & Cafe)

  • বর্ণনা: চালা বাসস্ট্যান্ডের কাছে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্টে স্থানীয় খাবার পরিবেশন করা হয়।

  • যোগাযোগ: 01780-733166Facebook

  • ফেসবুক পেজ: Facebook

3. ঘোষ মিষ্টান্ন ভান্ডার (Ghos Mistanna Bhandar)

  • বর্ণনা: বেলকুচির একটি বিখ্যাত মিষ্টির দোকান, যেখানে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি পাওয়া যায়।

  • অবস্থান: বেলকুচি বাজার এলাকায়।


🕌 পরিদর্শনের সময়সূচি ও অন্যান্য তথ্য

  • মসজিদ খোলা থাকে: প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে।

  • ঠিকানা: সিরাজগঞ্জ-এনায়েতপুর সড়ক, মুকুন্দগাঁতি মহল্লা, বেলকুচি, সিরাজগঞ্জ।

  • মসজিদ সম্পর্কে আরও তথ্য: Wikipedia


✅ পরামর্শ:

  • পোশাক: মসজিদ পরিদর্শনের সময় শালীন পোশাক পরিধান করুন।

  • জুতা: মসজিদের ভেতরে প্রবেশের আগে জুতা খুলে নির্ধারিত স্থানে রাখুন।

  • ছবি তোলা: মসজিদের ভেতরে ছবি তোলার আগে অনুমতি নেওয়া উচিত।

  • পরিবহন: স্থানীয় পরিবহন ব্যবহারের সময় ভাড়া আগে থেকেই জেনে নিন।


আশা করি এই তথ্যগুলো আপনার ভ্রমণকে আরও সহজ এবং আনন্দদায়ক করবে। যদি আরও কোনো তথ্যের প্রয়োজন হয়, নির্দ্বিধায় জানতে পারেন। শুভ ভ্রমণ!

পরিশেষে

বাহেলা মসজিদ কেবল একটি প্রাচীন মসজিদ নয়, এটি একটি ইতিহাস বহনকারী নীরব সাক্ষী। যারা ধর্ম, ইতিহাস ও স্থাপত্যের মেলবন্ধন অনুভব করতে চান, তাদের জন্য বাহেলা মসজিদ নিঃসন্দেহে একটি দর্শনীয় স্থান।

মসজিদের ছবি বাংলাদেশ (Photo of mosque Bangladesh)

মসজিদের ছবি বাংলাদেশ অসংখ্য সুন্দর মসজিদ দেশ জুড়ে ছড়িয়ে আছে। বাংলাদেশের হাজারো সুন্দর মসজিদের মাঝে সেরা গুলো বেঁছে নেওয়া খুবই কঠিন।

পৃথিবীর মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের স্থান তৃতীয়তম। ইসলামের সুচনা লগ্ন থেকেই বাংলাদেশে ইসলামের সুশীলতম বাতাস বয়ে যাচ্ছে।এদেশের ইসলাম প্রিয় মানুষ দেশের আনাচে কানাচে অসংখ্য মসজিদ নিজেদের টাকায় তৈরী করেছে। আবার অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন দেশ বা সংস্থা থেকে অনুদানের অর্থ এনে মসজিদ নির্মান করেছে।যা আমাদের ইসলামিক কৃষ্টি ও কালচার কে সুন্দর এবং স্বয়ং সম্পুর্ন করেছে।

আজকে এই পোষ্টে মসজিদের ছবি বাংলাদেশ নাম দিয়ে বিভিন্ন ছবি পোষ্ট করবো। যাতে সৌন্দর্য ও সংগ্রহের ভিত্তিত দেওয়া হলো।

আপনার এলাকার মসজিদের ছবি আমাদের ফেসবুক পেইজে পাঠাতে পারে আমরা উপযুক্ত ক্রেডিট সহ প্রকাশ করবো।

মসজিদের ছবি বাংলাদেশ সিরিয়াল অনুযায়ী দেওয়া হলোঃ

১।রমজান মিয়া জামে মসজিদ। কবির হাট, নোয়াখালী।৩০০ বছরের অধিক পুরাতন। প্রত্নতান্ত্রিক ভ্যালু সমৃদ্ধ এই স্থাপনা স্থানীয়দের কাছে চৌধুরী মসজিদ নামে অধিক পরিচিত।


রমজান মিয়া জামে মসজিদ, কবিরহাট, নোয়াখালী -www.islamiblogbd.com

২।মির্জাপুর শাহী মসজিদ, অটোয়ারী, পঞ্চগড়। মনোরম এই মসজিদটি লম্বা ৪০ফুট। এটির প্রস্থ হচ্ছে ২৪ফুট। চারকোনা বিশিষ্ট চারটি মিনার আছে। ছাদে আছে পাশাপাশি তিনটি মিনার। নকশায় আছে বিভিন্ন টেরাকোটার ব্যবহার।


মির্জাপুর শাহী মসজিদ
মির্জাপুর শাহী মসজিদ, অটোয়ারী, পঞ্চগড় - www.islamiblogbd.com


৩।বায়তুল আমান জামে মসজিদ, হযরতপুর, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা। মসজিদটি হযরতপুর তথা কেরানীগঞ্জের কৃতি সন্তান আমান উল্লাহ আমান ২০০৪ সালে নির্মান করেন। যিনি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত এবং চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন।


বায়তুল আমান জামে মসজিদ
বায়তুল আমান জামে মসজিদ, কেরানীগঞ্জ, ঢাকা - www.islamiblogbd.com


৪।বাঘা মসজিদ, বাঘা, রাজশাহী। প্রায় ৫০০ বছরের পুরাতন। রাজশাহী শহর থেকে মাত্র ৪১ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। একপাশে একটি দিঘী অন্য পাশে একটি কবরস্থান রয়েছে। ১৮৯৭ সালে ভুমিকম্পে ছাদের অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। প্রায় ৭৬ফুট লম্বা ও প্রস্থে ৪২ফুট। ধবংস প্রাপ্ত ছাদ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ পরে ছাদ ও ছাদের উপর গম্বুজ পুনরায় নির্মান করেন।মসজিদের ছবি বাংলাদেশ এর তালিকায় এই মসজিদ চার নম্বরে আছে।


বাঘা মসজিদ, বাঘা, রাজশাহী - www.islamiblogbd.com


৫।কুসুম্বা মসজিদ, মান্দা, নওগাঁ। নওগাঁ যেতে আত্রাই নদীর উপর অবস্থিত মান্দা ব্রিজ পার হয়ে মান্দার কুসুম্বা গ্রামে অবস্থিত এই প্রাচীন মসজিদ।এই মসজিদ কুসুম্বা দিঘীর পশ্চিম পাশে অবস্থিত। এটি ধসুর বর্ণের পাথরে তৈরী।বাংলাদেশে চলমান পাঁচ টাকার নোটে এই মসজিদের ছবি ছাপানো আছে। নির্মানকাল লেখা আছে ৯৬৬ হিজরি।

কুসুম্বা মসজিদ
কুসুম্বা মসজিদ, মান্দা, নওগাঁ - www.islamiblogbd.com


৬।হাটহাজারী শাহী জামে মসজিদ, হাটহাজারী, চট্রগ্রাম।এটি হাটহাজারীতে অবস্থিত আল - জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসাতে অবস্থিত। বাংলাদেশে ইসলামী শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভুমিকা রেখে চলেছে এই প্রতিষ্ঠান। এটি একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান।


হাটহাজারী শাহী জামে মসজিদ
হাটহাজারী শাহী জামে মসজিদ - www.islamiblogbd.com


৭।আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, চট্রগ্রাম। মোগল আমলের স্থাপত্য শৈলীর ব্যবহার এখানে লক্ষ্য করা যায়। চট্রগ্রাম শহর থেকে মাত্র সাড়ে সাত কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান।বড় বড় পাথর ব্যবহার করে দিল্লীর শাহী মসজিদের আদলে এই মসজিদ গড়ে তোলা হয়েছে। ১৬৬৭ সালে আওরঙ্গোজেব শায়েস্তা কে একটি মসজিদ নির্মানের নির্দেশ দেন। কারণ ছিলো চট্রগ্রামের স্মৃতি ধরে রাখা। স্মৃতি ধরে রাখতে এই মসজিদ গড়ে তোলা হয়।তার পর এখানে ইমাম খতীব নিয়োগ দেওয়া হতো মদিনার আওলাদে রাসুলগন।


আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ
আন্দর কিল্লা শাহী জামে মসজিদ - www.islamiblogbd.com


৮।কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। যে মসজিদের পাশে শায়িত আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। যিনি জনগনের মাঝে বিদ্রোহী কবি নামে অধিক পরিচিত তিনি এই মসজিদের পাশে সমাহিত আছেন। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেদ্রীয় মসজিদ এটি। মসজিদ টি অনন্য এর নির্মানশৈলী, নান্দনিকতা ও কারুকার্যময়তার জন্য।


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ
কেন্দ্রীয় মসজিদ, ঢাকা, বিশ্ববিদ্যালয় - www.islamiblogbd.com


আরো কিছু মসজিদের ছবি বাংলাদেশ এরঃ

৯।বায়তুল আমান জামে মসজিদ, গুটিয়া, বরিশাল। গুটিয়া মসজিদ নামে বেশি পরিচিত। এস এম সরফুদ্দিন আহমেদ এই মসজিদ কমপ্লেক্সের নির্মান ব্যয় বহন করেন। তার গ্রামের বাড়ী চাংগুরিয়া। এই কমপ্লেক্সের ভেতরে কুড়ি হাজার মুসল্লির ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি ঈদের মাঠ রয়েছে। মুল কমপ্লেক্সে প্রবেশ পথে ডান পাশে একটি বড় পুকুর রয়েছ।অনেক বড় একটি মিনার এই মসজিদের সৌন্দর্য্য বাড়িয়ে দিয়েছে। মসজিদের মিনারটির উচ্চতা ১৯৩ ফুট। ১৬ ডিসেম্বর ২০০৩সালে এটির নির্নান কাজ শুরু করে ২০০৬সালে এর কাজ শেষ হয়।

আরো পড়ুনঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ।


মসজিদের ছবি বাংলাদেশ
বায়তুল আমান জামে মসজিদ, গুটিয়া, বরিশাল - www.islamiblogbd.com


১০।আতিয়া মসজিদ, টাঙ্গাইল। দেলদুয়ার উপজেলা টাঙ্গাইল জেলার অধীনে এই মসজিদ টি অনেক পুরাতন একটি মসজিদ।ঐতিহাসিক এই মসজিদটি বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন গুলোর মধ্যে জনপ্রিয় একটি। বাংলাদেশ সরকারের পুরাতত্ত্ব বিভাগ এই স্থাপনাটির দেখভালে দ্বায়িত্বে নিয়োজিত। এতে নিয়মিত জামাতে নামাজ আদায় করা হয়।এটি নির্মান কাল নিয়ে দুই ধরনের তথ্য পাওয়া যায়। প্রাপ্ত্য শিলা লিপি থেকে এই নির্মান কাল পাওয়া যায় ১৬০৮ - ১৬০৯ অথবা ১৬১০ - ১৬১১ সাল।


আতিয়া মসজিদ টাঙ্গাইল
আতিয়া মসজিদ, টাঙ্গাইল - www.islamiblogbd.com


১১।বজরা শাহী জামে মসজিদ, সোনাইমুড়ি, নোয়াখালী। ১৮শ শতকে নির্মিত।বজরা ইউনিয়নে অবস্থিত। বজরা ইউনিয়ন নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার একটি ইউনিয়ন। নোয়াখালীর উল্লেখ্য যোগ্য ঐতিহাসিক স্বাপনার মধ্যে এটি একটি। ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসের শেষের দিকে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এই মসজিদটি দ্বায়িত্বভার গ্রহন করেন। দুর্লভ স্থাপনা সংরক্ষনের জন্য এই বিভাগ কাজ করে চলেছ।


বজরা শাহী জামে মসজিদ, সোনাইমুড়ি, নোয়াখালী - www.islamiblogbd.com


১২।তেতুলিয়া জামে মসজিদ, সাতক্ষীরা, বাংলাদেশ। সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় অবস্থিত। গ্রামের নাম তেতুলিয়া। জমিদার পরিবার এই মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন। জমিদার কাজী পরিবার এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা। জমিদারের নাম ছিলো খান বাহাদুর সালামাতুল্লাহ। সে সালাম মঞ্জিল নামের একটি জমিদার বাড়ীর প্রতিষ্ঠাতাও ছিলেন। যা বর্তমানে ধ্বংস প্রাপ্ত। ৬গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদের চার টি মিনার ছিলো। মসজিদের ছবি বাংলাদেশ এর তালিকায় ১২ স্থান দখল করে আছে। তার প্রত্নতাত্ত্বিক মুল্যের জন্য।


তেতুলিয়া জামে মসজিদ
তেতুলিয়া জামে মসজিদ সাতক্ষীরা - www.islamiblogbd


১৩।খেরুয়া মসজিদ, শেরপুর, বগুড়া। মির্জা মুরাদ খান কাকশাল যার বাবার নাম ছিলো জহূর উদ্দিন কাকশাল। তিনি ১৫৮২ সালে এই প্রাচীন মসজিদ টি নির্মান করেন। সারা বাংলাদেশের হাজারো প্রত্ন নিদর্শনের মধ্যে এই খেরুয়া মসজিদ গুরুত্বপুর্ন স্থান দখন করে আছে। মোগল আমলের স্থাপত্য শৈলীর সাথে সুলতানী আমলের স্থাপত্য কর্ম যোগ হয়ে এই মসজিদ গড়ে উঠেছে। ৪৩৫ সালের পুরাতো এই মসজিদ শেরপুর উপজেলার খোন্দকার টোলায় অবস্থিত।


খেরুয়া মসজিদ
খেরুয়া মসজিদ, শেরপুর, বগুড়া - www.islamiblogbd.com


১৪।খনিয়া দিঘী মসজিদ, চাঁপাই নবানগঞ্জ। খনিয়া দিঘীর পাশে অবস্থিত তাই খনিয়া দিঘী মসজিদ বলা হয়। জৈনক্য রাজবিবি নামে একজন ১৪৮০সালে এই মসজিদ নির্মান করেন বলে ধারণা করা হয়।রাজশাহী বিভাগের চাঁপাই জেলা এই মসজিদ গড়ে উঠেছে।উপজেলার নাম শিবচর যা চাঁপাই নবাবগঞ্জ থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ২৬০৪ বর্গমিটার আয়তনের এই মসজিদ লম্বা ৬৪ফুট ও প্রস্থ ৪২ফুট।বাইরের দিকে কারুকার্য মন্ডিত, পুরোটাই ইটের তৈরী।


খনিয়া মসজিদ চাঁপাই নবাবগঞ্জ
খনিয়া মসজিদ, শিবগঞ্জ, চাঁপাই নবাবগঞ্জ - www.islamiblogbd.com


১৫।শহীদি মসজিদ, কিশোরগঞ্জ।এটি কিশোরগঞ্জের একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা।এটি জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। ৫তলা বিশিষ্ট মিনার এই মসজিদের প্রধান আকর্ষন। এই মিনার আবার তিন তলা বিশিষ্ট মসজিদের উপরে নির্মান করা হয়েছ। এই মসজিদ কে ঘিরে একটি মাদ্রাসা পরিচালিত হয়ে থাকে। এই মসজিদ থেকে অল্প একটু দূরে দেশের সবচেয়ে বড় ঈদগাও শোয়ালাকিয়া অবস্থিত।


শহীদি মসজিদ কিশোরগঞ্জ
শহীদি মসজিদ, কিশোরগঞ্জ - www.islamiblogbd.com


আরো তিনটি মসজিদের ছবি বাংলাদেশ

মসজিদের ছবি বাংলাদেশ এই পর্যায়ে ১৬ নম্বরে আছে চাটমোহর শাহী মসজিদ পাবনা।বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও প্রাচীন মসজিদ। মাত্র ২০০গজ দূরে অবস্থিত উপজেলা কমপ্লেক্স থেকে। একসময় মসজিদটি ধ্বংস স্তুপে পরিনত হয়েছিলো। ১৯৮০সালে বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এটিকে পুনরায় নির্মান করে।একসময় এই চাটমোহর ছিলো মোগল ও পাঠানদের অবাধ বিচরণ ভুমি। এই মসজিদে একটি ফরাসী শিলালিপি ছিলো যা বর্তমানে বরেন্দ্র জাদুঘরে রক্ষিত আছে।


চাটমোহর শাহী মসজিদ
চাটমোহর শাহী মসজিদ, পাবনা - www.islamiblogbd.com


আরো একটি মসজিদ আছে যার নাম মিঠাপুকুর বড় মসজিদ, রংপুর। মসজিদের ছবি বাংলাদেশ এ এর অবস্থান ১৭তম।এটি রংপুর এর মিঠাপুকুরে অবস্থিত। অনেকে একে তিন কাতারের মসজিদ নামেও ডেকে থাকে। সম্ভবতঃ এটি রংপুরের প্রাচীন মসজিদ।এটি এক প্রত্নতান্ত্রিক স্থাপনা। যা দেখভালের দায়িত্বে আছে বাংলাদেশের পুরাকীর্তি বিভাগ।জনশ্রুতি আছে মোগল আমলের শেষ দিকে এটি নির্মান করা হয়।


মিঠাপুকুর বড় মসজিদ
মিঠাপুকুর বড় মসজিদ, রংপুর - www.islamiblogbd.com


মসজিদের ছবি বাংলাদেশ এ সবচেয়ে শেষের টি হলো আমাদের প্রিয় তারা মসজিদ। অপরুপ সৌন্দর্য্য মন্ডিত তারা মসজিদ।নীল রঙের তারা খচিত।মার্বেল পাথর দিয়ে নির্মিত এই নয়নাভিরাম মসজিদটি। তারা মসজিদ সম্পর্কে জাননু।

এছাড়াও বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিভিন্ন মসজিদ। সরকারী ও ব্যক্তি অর্থায়নে নির্মিত হাজারো মসজিদ।যেগুলো দেখতে যেমন নয়নাভিরাম, সৌন্দর্য্য মন্ডিত। ্তেমনি আছে প্রত্নতাত্ত্বিক মর্যাদা আছে অত্যাধুনিক সুবিধা ও নির্মান শৈলী।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ (islami university mosque)


ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে যখন আযান ভেসে আসে তখন পূর্ব আকাশে উদীয়মান সূর্যের আলোর উদ্ভাসিত করার পূর্বক্ষণ। কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে মুয়াজ্জিনের সুমধুর কন্ঠে ভেসে আসে আযানের ধব্বনি।

অনেক দূর থেকে আকাশছোঁয়া সবুজ গাছপালার মাথা ভেদ করে উঁকি দেয় আকাশের সাথে মিশে থাকা সুউচ্চ গম্বুজ। 

দৃষ্টিনন্দন আকর্ষণীয় স্থাপত্যশৈলীর অন্যতম নিদর্শন হয়ে থাকবে হাজার বছর। আলো ছড়াবে যুগ যুগ ধরে। থাকবে এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ এর বিবরণঃ 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ মীর মোশারফ হোসেন একাডেমিক ভবন ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের মাঝখানে অবস্থিত। এই মসজিদটি চারতলা বিশিষ্ট। মসজিদটির বর্গকৃতি ২.২৫ হেক্টর  জায়গা জুড়ে অবস্থিত। 

এ কেন্দ্রীয় মসজিদটি সিরামিক ও কনক্রিট  দিয়ে তৈরি। এই মসজিদে ছোট বড় মোট ১৪ টি গম্বুজ রয়েছে। মসজিদে মাঝখান বরাবর ছাদের উপরে গম্বুজ এর উচ্চতা ৩৬.৫০ মিটার। 

মসজিদে চার কোণায় চারটি ২০০ ফুট উঁচু মিনার রয়েছে। এই মসজিদে প্রবেশ করার জন্য তিনটি দরজা রয়েছে । ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদ ভিত্তিক ক্যাম্পাস গড়ার পরিকল্পনা হিসেবে,বিভিন্ন অনুষদ ভবন থেকে ১৫ ফুট প্রস্থের করিডোর স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

এই চারতলা বিশিষ্ট মসজিদের নিচ তলার আয়তন ৪ হাজার ৭৭১বর্গ মিটার।এই মসজিদে রয়েছে ইসলামিক গ্রন্থাগার ও গবেষণা কেন্দ্র, ক্যাফেটেরিয়া, ইসলামিক ব্যাংক ও বিশ্ব বিদ্যালয় প্রেস।  

মসজিদে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় মোট আয়তন ৭ হাজার ১০০ বর্গমিটার। দ্বিতীয় তলার ৩ হাজার ১০০জন, তৃতীয় তলায় ৮০০ জন ও চতুর্থ তলায় ২ হাজার ৩০০ জন। এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে মোট ৬ হাজার ২০০ জন মুসল্লী একসাথে নামাজ আদায় করতে পারেন।

মুসল্লির চাহিদা মিটানোর জন্য ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিরামিক ও ইট দ্বারা সুন্দর মসজিদ স্থাপন করা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই মসজিদটি স্থাপন করতে ১ লক্ষ ১ হাজার ১২৫ বর্গফুট জায়গা লেগেছে। 

এই মসজিদে মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব ঈদের নামাজের জন্য সুব্যবস্থা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক সর্ববৃহৎ ও দেশের তৃতীয় বৃহত্তম মসজিদ এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ। 

এই মসজিদটিতে ৬ হাজার ২০০ ও ঈদের নামাজের জন্য ১০ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। ঈদের জামাতের মাঠসহ এই কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটিতে মোট ১৬ হাজারের ও বেশি মুসল্লি এক সাথে নামাজ আদায় করতে পারবেন। 

১৯৯৪ সালে এই কেন্দ্রীয় মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উপরোক্ত বর্ণনা অনুযায়ী এ মসজিদটির সম্পূর্ণ কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। সরকারি তৎকালীন অর্থায়নে এই ভিত্তিপ্রস্থর কাজের উদ্বোধন করা হয় । এই মসজিদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিন্ন ভিন্ন খাতে ব্যবহৃত হওয়ায় মসজিদটি কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি। 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ স্থাপনে খরচঃ

এই বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ইসলামীক পাঠাগার নিমার্ণ বাবদ মোট ব্যায় ধরা হয়েছিলো ২ হাজার ৬৮৯ (৩.৩৬১ মিলিয়ন ইউ এস ডলার) লাখ টাকা। মোট ৪৮০ (০.৮৩ মিলিয়ন ইউ এস ডলার) লাখ টাকা ব্যয়ে বর্তমান কাজ হয়েছে ৩৬ শতাংশ। 

এখনো বাকী ৬৪ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ করতে প্রয়োজন ৪ হাজার ৫০৬ (৫.৬১৬ মিলিয়ন ইউ এস ডলার) লাখ টাকা। মসজিদটি ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ ১০ বছর পর ৩৬ শতাংশ কাজ শেষ হলে ২০০৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর তৎকালীন ধর্মপ্রতিমন্ত্রী জনাব মোশারফ হোসেন শাহজাহান উদ্বোধনের মাধ্যমে নামাজের জন্য মসজিদটি উন্মুক্ত করে দেন। 

দীর্ঘ ১৩ বছট ধরে মসজিদটি উন্নয়ন করা যাচ্ছিল না,হারাতে বসেছিল এই অপরূপ সৌন্দর্য কারুকার্য। দীর্ঘ ২৪ বছর পর বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে মসজিদটি পূরিপূর্ণ রূপ । 

আরো পড়ুন ঃ 

বর্তমানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড.মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারি অবকাঠামোগত উন্নয়ন, গবেষণা ধমী, শিক্ষা কার্যক্রম, আবাসিক সুবিধা নিশ্চিতকরন, বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানে উন্নতি করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। 

২০১৭ সালের ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার জুম্মা নামাজের পর মসজিদের সম্প্রাসরন কাজের উদ্বোধন করেন। এই মসজিদটির জন্য বরাদ্দ হয়েছিলো ৪ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা। 

মসজিদের মাঝখানে পূর্বদিকে বায়তুল মোকাররাম মসজিদের ন্যায় চওড়া সিঁড়ি ও তৈরি হবে। এ মসজিদটির ৪ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকার ১৫ শতাংশ সম্পূর্ণ হবে এবং ১৫ শতাংশ কাজ শেষ হবে ২০১৯ সালের জুন মাসে নাগাদ।

দীর্ঘদিন যাবৎ মসজিদের কাজটি বন্ধ ছিল। বর্তমান প্রশাসন ইতিমধ্যে প্রায় ৫ কোটি টাকা টেন্ডার নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। বাকি কাজগুলো করার জন্য আমরা ৪০ কোটি টাকা ' কুয়েত জয়েন্ট রিলিফ ' কমিটি বরাবর আবেদন করেছি । 

সেই কমিটির সাথে আমাদের প্রতিদিন যোগাযোগ হয়,আশা করা যাচ্ছে তারা আমাদেরকে সাহায্য করবে। আমরা আগামী চার বছরের মধ্যে মসজিদটি পূর্ণাঙ্গ রূপ দেখতে পারবো।

উপচার্য অধ্যাপক ড.মোঃ হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, মসজিদের মূল নকশার কাজ পরিপূর্ণ হলে, এই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদটি বাংলাদেশের তথা বিশ্বের সবচেয়ে অন্যতম সেরা মসজিদ রূপান্তরিত হবে। 

ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ( Islamic Foundation of Bangladesh )

 


ইসলামিক ফাউন্ডেশন হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা ইসলামী আদর্শ ও মুল্য বোধ প্রচার করে থাকে।সেই সম্পর্কিত কার্যক্রম  পরিচালনা করে থাকে।

এই দেশের তথা বাংলাদেশের সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ একটি সরকারী প্রতিষ্ঠান। ৬৪ জেলাতেই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শাখা রয়েছে।

যার প্রধান কার্যালয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে অবস্থিত। এর আটটি বিভাগীয় কার্যালয়ও রয়েছে।ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে আছে সাতটি ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আরো আছে ২৯টি ইসলামিক প্রচারণা কেন্দ্র।ফাউন্ডেশনের প্রধানকে বলা হয় মহাপরিচালক।

কত সালে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়

বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ।এর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম।ইসলামের প্রচার ও প্রসারে গতিশীলতা আনার লক্ষ্যে বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মজিবর রহমান এটি প্রতিষ্ঠা করেন।

১৯৭৫ সালের ২২শে মার্চ এক অধ্যাদেশবলে ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। শেখ মজিবুর রহমান প্রতিষ্ঠিত এই ফাউন্ডেশন সুচনা লগ্ন থেকে শুরু করে বর্তমান অবধি সরকারী অর্থে পরিচালিত হয়ে আসছে।

বর্তমানে এটি মুসলিম বিশ্বের একটি অন্যতম বৃহৎ সংস্থা হিসাবে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে।যে কারণে বিদেশী রাষ্ট্র ও সংস্থা থেকে অনে অনুদান পেয়ে থাকে।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাঠামো 

এই প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্য্যলয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাতে অবস্থিত।এই প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রীয় কার্য্যলয়ে ১৭টি বিভাগ, ৭টি প্রকল্প ও লাইব্রেরী রয়েছে।বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাতে এর শাখা রয়েছে।

এমনকি প্রতিটি বিভাগে রয়েছে বিভাগীয় কার্য্যলয়।এছাড়াও দেশে ও বিদেশে আর্থ মানবতার সেবার জন্য ৫০টি ইসলামিক মিশন কেন্দ্র রয়েছ।

আরো আছে ৭টি ইমাম প্রশিক্ষন কেন্দ্র। আর এই সকল প্রতিষ্ঠান ও শাখা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশের ইসলামী মুল্যবোধের লালন ও চর্চা করে আসছে।

islamic foundation bangladesh - www.islamiblogbd.com

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পরিষদ

প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য রয়েছে সুপ্রতিষ্ঠিত সাংগঠনিক কাঠামো। এই ফাউন্ডেশনের বোর্ড ও গভর্নরসের প্রধান হচ্ছে পদাধিকার বলে মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রী। 

আরো আছে রাজস্ব খাত ও উন্নয়ন খাত মিলিয়ে ২৩১১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী। সন্মানী ভাতার ভিত্তিতে আছে আরো ৭১,১৮৫ জন জনবল।(সুত্রঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন)

আরো পড়ুনঃইসলামিক স্ট্যাটাস পিকচার (islamic status picture)

ইসলামিক ফাউন্ডেশন পরিচালিত হয় সরকার কর্তৃক নিযুক্ত একজন পরিচালক দ্বারা। যার উপর ন্যস্ত দ্বায়িত্ব হলো বোর্ড অব গর্ভনরসের সিদ্ধান্ত সমুহ ব্যস্তবায়ন করা। 

তিনি সচিব পদমর্যাদার কেউ এবং প্রেষনে নিযুক্ত প্রাপ্ত। আরো আছে ১৭জন পরিচালক। ৭জন প্রকল্প পরিচালক ও লাইব্রেরী পরিচালনার জন্য তত্ত্বাবধায়ক।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সেবা সমুহ

১।মসজিদ ও ইসলামি কেন্দ্র, একাডেমী ও ইনষ্টিটিউটের প্রতিষ্ঠা করা ও সেগুলো রক্ষণাবেক্ষনের দ্বায়িত্ব পালন করা।

২।বিভিন্ন সমাজ সেবা মুলক ধর্মীয় সংগঠন সমুহকে আর্থিক সহায়তা প্রদান।

৩।ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে ইসলামের অবদান বিষয়ক গবেষনা পরিচালনা করা।

৪।ইসলামী মুল্যবোধ ও ইসলাম বিষয়ক বই পুস্তক, পত্রিকা ও সাময়িকী ইত্যাদি প্রকাশ ও প্রচার করা।

৫।ইসলামের ইতিহাস, দর্শন, সংস্কৃতি, আইন ও বিচার ইত্যাদি বিষয়ের উপর বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রামের আয়োজন করা। যেমনঃ বক্তব্য মালা, বির্তক, সেমিনার ও সিম্প্রোজিয়ামের আয়োজন করা।

৬।ইসলামিক বিষয়ে অবদানের জন্য পুরস্কার ও পদক দেওয়া।

৭।ইসলামিক বিষয়ে অবদানের জন্য পুরস্কার ও পদক দেওয়া।

৮।বায়তুল মোকাররম মসজিদের ব্যবস্থাপনা ও উন্নতি বিধান করা।

বাংলাদেশ তথা মুসলিম বিশ্বে ইসলামী আর্দশ প্রচার প্রসার কার্যক্রমের পরিচালনা করা ক্ষেত্রে ইসলামিক ফাউন্ডেশন গুরুত্ব পুর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।

বিশ্বজুড়ে সুন্দর ইসলামিক স্থাপনা

 


পিউ রিসার্চ সেন্টারের ২০১৭ সালের রিপোর্ট অনুসারে, মুসলিমরা বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল ধর্মীয় গোষ্ঠী। এটি অনুমান করা হয়েছে যে বর্তমান হারে, ২০৬০ সালের মধ্যে মুসলমানদের সংখ্যা খ্রিস্টানদের ছাড়িয়ে যাবে। এমনকি এখন, বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ ইসলাম পালন করে এবং প্রায় ৫০টি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ রয়েছে।

কিন্তু মুসলিম বিশ্বাসের সাথে যে নেতিবাচকতা প্রায়শই জড়িত তা উপেক্ষা করা কঠিন। এটি সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে ভুল বোঝাবুঝির ধর্ম। এটি অধ্যয়ন এবং অন্বেষণ করা তাই বর্তমানে আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে। নিজেদের এমনকি অন্য ধর্মাবলীদের ও মুসলিম ধর্মকে জানতে হবে। তাহলেই কেবল ইসলাম ফোবিয়ার অপপ্রচার থেকে রক্ষা পাবেন।

ভ্রমণ আপনাকে ইসলামের নীতির সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারে। আপনার বিশ্বাস যাই হোক না কেন। আপনি একবাক্যে মেনে নিবেন যে মুসলমানরা মানবজাতির সবচেয়ে সুন্দর কিছু সৃষ্টির জন্য বাহবা পেতে পারে। ইসলামিক বিশ্বের কিছু ল্যান্ডমার্ক ভ্রমন করলে মুসলিম ধর্ম, সংস্কৃতি এবং ইতিহাসের স্বাদ পাবেন একথা জোর দিয়ে বলা যায়।

বিশ্বজুড়ে সুন্দর ইসলামিক স্থাপনা সমুহের বিবরণ দেওয়া হলোঃ


১. ইরানের এসফাহানের ইমাম স্কয়ার



ইমাম বা নকশ-ই জাহান স্কয়ারটি ইসলামিক স্থাপত্যের আইকন দ্বারা বেষ্টিত।১৫৯৮ এবং ১৬২৯ এর মধ্যে নির্মিত, এটি এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান এবং ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলোর মধ্যে একটি । যেমন জটিলভাবে টালি করা নাগশ-ই জাহান মসজিদ আছে।আছে ছয়তলা আলি কাপু প্রাসাদ। এখানে আছে ইতিহাস খ্যাত কেসারি গেট যা এসফাহান গ্র্যান্ড বাজারে দিকে মুখ করে অবস্থিত।

২. চীনের জিয়ানে মুসলিম কোয়ার্টার


মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন,


ইসলাম গ্র্যান্ড সিল্ক রোড ধরে চীনে যাত্রা করেছিল। প্রথম শতাব্দীতে স্থাপিত, জিয়ানের গ্র্যান্ড মসজিদ তার 'চীনা-শৈলীর স্থাপত্য এবং বাগানের জন্য অন্যান্য মসজিদের মধ্যে আলাদা। মসজিদের আশেপাশের এলাকার ঘুরপথগুলি সুস্বাদু রাস্তার খাবার এবং রেস্তোরাঁয় পূর্ণ। এই অঞ্চল সবসময় জন সমাগমে পূর্ন থাকে।

৩. কানাডার টরন্টোতে আগা খান পার্ক



বিলিয়নিয়ার আধ্যাত্মিক নেতা এবং জনহিতৈষী আগা খান। ৪র্থ আগা খান এর কাছ থেকে টরন্টোকে দেওয়া একটি উপহার। পার্ক, ইসমাইলি সেন্টার এবং আগা খান মিউজিয়াম রয়েছ এখানে। এখানে এক জায়গায় আধ্যাত্মিকতা, শিল্প, ইতিহাস এবং প্রকৃতিকে সমাবেশিত করা হয়েছ।

৪. কাসাব্লাঙ্কা, মরক্কোর হাসান দ্বিতীয় মসজিদ



প্রায় ৭০০ ফুট উচ্চতায়, হাসান II মসজিদের মিনারগুলি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু। যেহেতু মসজিদটি একটি উপদ্বীপে অবস্থিত তাই এটি একটি বিশাল ইসলামিক বাতিঘরের মতো।

৫. ভারতের আগ্রায় তাজমহল



১৬৩১ থেকে ১৬৪৮ সালের মধ্যে ২০,০০০ কর্মী এবং মাস্টার কারিগর দ্বারা নির্মিত। এই সাদা মার্বেল নির্মিত বিস্ময়টি তৎকালীন সম্রাট শাহজাহানের প্রিয় স্ত্রীর স্মৃতিকে সম্মান করে। এটি শুধুমাত্র ভারতের মুসলিম শিল্পের রত্ন নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত মুসলিম নিদর্শনগুলির মধ্যে একটি।

৬. গ্রানাডা, স্পেনের আলহাম্বরা



যদিও শেষ মুসলিম শাসক ১৪৯২ সালে গ্রেনাডা ত্যাগ করেছিলেন। স্পেন এখনও ইসলামিক দর্শনীয় স্থানগুলির একটি চিত্তাকর্ষক সংগ্রহের আবাসস্থল। আলহাম্ব্রার মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্মিত আঙ্গিনা, প্রতিফলন পুল এবং শোভাময় বাগান যে কোনো দর্শনার্থীকে আকৃষ্ট করবে যারা জীবন।

৮. হেরা গুহা 




সৌদি আরবের মক্কার জাবাল আল-নূরে (আলোর পর্বত) অবস্থিত। এই গুহাটি তে ধ্যানরত অবস্থায় নবী মুহাম্মদ তার প্রথম ওহী পেয়েছিলেন।

৮. মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে জাতীয় মসজিদ


মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে জাতীয় মসজিদ


দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ব্যাকপ্যাকাররা এটা বুঝতে পারে না। কিন্তু মালয়েশিয়া আসলে একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ। ৬০ এর দশকে নির্মিত, কুয়ালালামপুরের জাতীয় মসজিদটি আধুনিক ইসলামিক শৈলী প্রদর্শন করে। সাদা জালির কাজটি আরবি ক্যালিগ্রাফির অনুরূপ। যখন প্রলেপযুক্ত নীল ছাদটি একটি খোলা পাখার আদলে তৈরি করা হয়েছে।

৯. রাশিয়ার কাজানের কোল শরীফ মসজিদ



দুর্গের মতো, টিল-ছাদের মসজিদটি যেটি এখন দাঁড়িয়ে আছে তা আসলে একটি সাম্প্রতিক পুনর্গঠন প্রকল্প; আসলটি ১৬ শতকে ইভান দ্য টেরিবল দ্বারা ধ্বংস করা হয়েছিল।

১০. আলেকজান্দ্রিয়া, মিশরের মন্টাজা প্রাসাদ




ভূমধ্যসাগরীয় উপকূল বরাবর মন্টাজা প্রাসাদটি ছিল রাজা ফুয়াদ প্রথমের জন্য একটি গ্রীষ্মকালীন প্রাসাদ। মাঠ এবং এর বিস্তৃত বাগান এখন জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত।

১১. আবুধাবি, সংযুক্ত আরব আমিরাতের শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ


৮২টি গম্বুজ, ২৪-ক্যারেট সোনার ঝাড়বাতি এবং বিশ্বের বৃহত্তম হস্ত গিঁটযুক্ত কার্পেট সমন্বিত। শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদে ৪০,০০০ জন একত্রে প্রার্থনারত থাকতে পারে। প্রথম অনুষ্ঠানটি ছিল এর নামানুসারে এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শেখ জায়েদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া, যাকে এই স্থানে সমাহিত করা হয়েছে।

১২. কাতারের দোহায় ইসলামিক আর্টের জাদুঘর


মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন

মেট, ল্যুভর এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক জাদুঘরগুলিতে অসাধারণ ইসলামিক শিল্প বিভাগ রয়েছে। তবে কাতারের ইসলামী শিল্প জাদুঘরটি আরব বিশ্বের শিল্পের উপর সম্পূর্ণ নিবদ্ধ। এটি ১৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে তৈরি করা তিনটি মহাদেশের ইসলামিক শিল্পকলা রয়েছে।

১৩. তিউনিস, তিউনিসিয়ার তিউনিস মদিনা


তিউনিসিয়া - তিউনিস মদিনা


তিউনিসের মদিনাটি ১৩ শতকে ফিরে এসেছে। এখন এটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এর সউকে রাগ থেকে সুগন্ধি পর্যন্ত সবকিছুই রয়েছে। তবে মদিনায় মসজিদ, গলি, প্রাচীন বাড়ি এবং হাম্মাম (ঐতিহ্যবাহী বাথহাউস) রয়েছে।

১৪. জম্মু ও কাশ্মীর, ভারতের মখদুম সাহেব মাজার


মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন - কাশ্মির


আধ্যাত্মিক শারিকা পাহাড়ে অবস্থিত। হরি পর্বত দুর্গ শিখ, হিন্দু এবং মুসলিম তাৎপর্য পূর্ণ স্থান। পাশাপাশি শ্রীনগর শহর এবং ডাল লেকের মনোরম দৃশ্য প্রদান করে। দক্ষিণ দিকের মখদুম সাহেব মাজারটি একজন সুফি সাধকের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়েছে যিনি এই অঞ্চলে ইসলাম প্রচারে সাহায্য করেছিলেন।

পৃথিবীতে এই রকম হাজারো স্থাপত্য নির্দশন ছড়িয়ে রয়েছ।

বিশ্বসেরা ৫ টি মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন (Top 5 Muslim architectural monuments in the world)

মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন

মুসলিম বিশ্বের রয়েছে সুপ্রাচীন ইসলামী স্থাপত্যের বহু নিদর্শন। ইসলামী কৃষ্টি ও কালচারের এই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর মধ্যে মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন শৈলী প্রকাশিত। 

মুসলমান শাসকদের দ্বারা বিশ্বে এমন বহু নিদর্শন তৈরি করা আছে যা কয়েক শতাব্দী পরেও ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যে বিচারে পৃথিবীর বুকে বিশেষ স্থান দখল করে আছে।

বিশ্ব খ্যাত এই মুসলিম স্থাপত্যগুলো শিল্প ও চারুকলা এবং স্থাপত্য ও অলঙ্করণকলার সুস্থ ও মেধাবী প্রয়োগের বিবেচনায় অতুলনীয়।

সারা বছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন দেশ থেকে ভ্রমণপিপাসু মুসলিম ও অন্যান্য মানুষের পছন্দের তালিকায় জায়গা করে নেয় এসব স্থাপনা। 

ইন্টারনেট এবং বিভিন্ন সোর্স ব্যবহার করে এই তালিকা তৈরী করা হয়েছে।

০৫. হাসান দ্বিতীয় মসজিদ (কাসাব্লাংকা, মরক্কো) : 

মরক্কোর উপকূলীয় জনপ্রিয় ব্যনিজিক শহর কাসাব্লাংকায় দেশের সবচেয়ে বড় হাসান দ্বিতীয় মসজিদ অবস্থিত। মসজিদটি সেই দেশের তথা সারা বিশ্বের ঐতিহাসিক মুসলিম স্থাপত্যগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি। 

দ্বিতীয় হাসান মসজিদ


বলা হয়ে থাকে, এটিই আফ্রিকার সবচেয়ে বড় মসজিদ এবং বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মসজিদ বড় দিক থেকে সপ্তম বড় মসজিদ।মসজিদটি স্থাপিত হয়েছে এই শতাব্দীর ১৯৯৩ সালে। 

এটি ভাসমান মসজিদ (floating mosque)হিসেবেই সর্বাধিক পরিচিত। ভাসমান মসজিদ বলার কারণ  মসজিদটির তিন ভাগের এক ভাগ আটলান্টিক মহাসাগরে অবস্থিত।

অপুর্ব স্থাপত্য শৈলীর এই স্থাপনা দেখলে মনে হয় সাগরের বুকে ভাসছে। 

শহরটির মহাসাগরের তীর ঘেষে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে এক বিশাল মিনার।যার উচ্চতা ২১০ মিটার। 

আটলান্টিক মহাসাগরের নীলাভ ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে মিনারসংলগ্ন ঐতিহ্যবাহী প্রাসাদোপম মসজিদের কিনারায়।

অনিন্দ্য সুন্দর কাসাব্লাংকা শহরের বেশির ভাগ স্থাপনা সাদা হলেও এই মসজিদের ইমারতগুলো লালচে।  

রাতে নিকষ কালো অন্ধকার চিড়ে জ্বলে ওঠা এক উজ্জ্বল আলোকবর্তিকা।

অবস্থানগত কারনে মসজিদটিতে নামাজরত মুসল্লিরা সব ধরনের বানিজ্যিক দূষণ থেকে মুক্ত থেকে সমুদ্র থেকে ভেসে আশা মুক্ত সতেজ বাতাস উপভোগ করতে পারেন।

রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদের বাবা দ্বিতীয় হাসান মসজিদটি তৈরি করেন। তাই এই সুন্দর মসজিদটিকে দ্বিতীয় হাসান মসজিদ বলেও ডাকা হয়।

মসজিদটি স্থাপিত হয়েছে ১৯৯৩ সালে। রাজা দ্বিতীয় হাসানের উদ্যোগে নির্মিত এই মসজিদ কমপ্লেক্সটি ছিল নিম্ন-মধ্য আয়ের মরক্কোর ইতিহাসের সবচেয়ে উচ্চাকাক্সক্ষী প্রকল্প। 

প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮০০ মিলিয়ন ডলার, যার জোগান দেওয়া মরক্কোর সরকারের পক্ষে সম্ভব ছিল না। 

ফলে নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের একটি বিরাট অংশ সংগ্রহ করা হয় দেশের জনগণের কাছ থেকে অনুদান হিসেবে।

প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ এই মসজিদ নির্মাণের জন্য অর্থের জোগান দেন। তাদের সবাইকে সরকারের পক্ষ থেকে অনুদানের রসিদ ও একটি করে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। 

এ ছাড়া কিছু পশ্চিমারাষ্ট্রও এ কাজের জন্য ঋণ দেয়।

মসজিদ ছাড়াও এই বিশাল কমপ্লেক্সের মধ্যে আছে একটি মাদ্রাসা, হাম্মাম বা গোসলখানা, মরক্কোর ইতিহাস-সংবলিত একটি জাদুঘর, একটি কনফারেন্স হল এবং একটি সুবিশাল লাইব্রেরি।

উল্লেখ্য, মরক্কোর অন্যান্য মসজিদের মতো এই স্থানে কিন্তু অমুসলিমদের প্রবেশ নিষিদ্ধ নয়। 

বছরভর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা মায়াবী সৌন্দর্যের এই ধর্মীয় কেন্দ্রে ভিড় করে।

০৪. বুর্জ আল আরব (দুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত) : 

বুর্জ আল আরব মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন। নামটি অনেকের কাছেই পরিচিত। বিশ্বের চতুর্থ সুউচ্চ হোটেল হিসেবে এটি স্বীকৃত। 

এটি মূলত সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অবস্থিত একটি হোটেল।

হোটেলটি ‘বেস্ট হোটেল ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ এবং ‘বেস্ট হোটেল ইন দ্য মিডল ইস্ট’ ক্যাটাগরিতে স্বীকতি ও অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছে।

বুর্জ আল খলিফা


‘বুর্জ আল আরব’ মানে হলো আরবের সম্মান। যদিও কেউ কেউ বলছেন, বুর্জ আল আরবের সম্পূর্ণ অর্থ হলো ‘আরবের স্তম্ভ’। 

আরব বিশ্বের অন্যতম ধনাঢ্য ব্যক্তি এবং আরব আমিরাতের শাসক শেখ নাহিয়ানের পরিবার সুউচ্চ ও বিলাসবহুল এই হোটেলটি নির্মাণ করেন। 

এই স্থাপনাটির স্থপতি টম রাইট। এটি নির্মাণে পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান অ্যাটকিনস। 

নির্মাণ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান কন্ট্রাক্টর ম্যুরে অ্যান্ড রবার্টস। কেএসি ইন্টারন্যাশনালের ডিজাইন প্রিন্সিপাল খুয়ান চিউ নান্দনিক এই হোটেলটির ভেতরের সাজসজ্জার কাজ করেন।

দুবাইয়ের সমুদ্রের তীর থেকে ২৮০ মিটার ভেতরে কৃত্রিম একটি দ্বীপের উপর এটি নির্মাণ করা হয়েছে।

বুর্জ আল আরবে যাওয়ার জন্য সাঁকোর মতো একটি সুপ্রশস্থ পথ তৈরি করা হয়েছে।বুর্জ আল আরবের সাজসজ্জা অত্যাধুনিক স্থাপত্যের নিদর্শন। 

এর সৌন্দর্য দেখলেই চোখজুড়িয়ে যাবে।

০৩. মন্তাজা প্যালেস (আলেকজান্দ্রিয়া, মিসর) : 

আলেকজান্দ্রিয়া মিসরের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর এবং এই শহরেই মিসরের বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর অবস্থিত। 

প্রাচীনকালে এই শহরটি বাতিঘর (প্রাচীন সপ্তাশ্চর্যের একটি) এবং গ্রন্থাগারের (প্রাচীন সর্ববৃহৎ গ্রন্থাগার) জন্য বিখ্যাত ছিল। 

আলেকজান্দ্রিয়ার নামকরণ করা হয়েছে এর প্রতিষ্ঠাতা আলেকজান্ডার দি গ্রেটের নামানুসারে।

মন্তাজা প্যালেস


ইতিহাসবেত্তা অ্যারিয়ানের বর্ণনায় আলেকজান্ডার কিভাবে শহর তৈরির প্রাথমিক পরিকল্পনা করেছিলেন তা জানা যায়। 

আলেকজান্ডারের ভবিষ্যৎ দ্রষ্টারা কিছু পূর্ব লক্ষণ বিবেচনা করে বলেছিলেন যে এই শহর ব্যাপক উন্নতি করবে। 

এখানে রয়েছে মন্তাজা প্রসাদ। মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শনের অন্যতম একটি স্থাপনা এই মন্তাজা প্রাসাদ। এটি নির্মিত হয়েছে ১৯৩২ সালে। 

রাজা ফুয়াদ কর্তৃক নির্মিত একটি গ্রীষ্মকালীন প্রাসাদ হিসেবে এটি পরিচিত। এই স্থাপত্যটি ভূমধ্য সাগরের তীরে অবস্থিত। 

প্রাসাদের স্থাপত্যকলা তুর্কি এবং ফ্লোরেনটাইন কারুশৈলী দ্বারা সজ্জিত। প্রাসাদের রাজপথ এবং বিস্তৃত রাজকীয় বাগানগুলি সবার জন্য উন্মুক্ত। 

যে কেউ চাইলেই এখানের মনোরম পরিবেশে সময় কাটাতে পারবেন। জায়গাটি সকলের জন্য উন্মুক্ত। এখানে প্রচুর দর্শনার্থী ভীর করেন।

২. সুলতান আমির আহমদ এর গোসলখানা (কাশান, ইরান) : 

বিখ্যাত সুলতান আমির আহমদ বাথহাউস যাকে প্রসিদ্ধ কুয়েসি বাথহাউস নামেও পরিচিত।

এটি ইরানের ঐতিহ্যবাহী গোসলখানা, যেটি সাধারণ মানুষের জন্য উন্মক্ত। এটি ইরানের কাশানে অবস্থিত। 

ষোড়শ শতাব্দীতে এটি নির্মিত হয়। তবে ১৭৭৮ সালে ভূমিকম্পে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে পুনরায় নির্মাণ করা হয়।প্রায় ১ হাজার বর্গমিটারের এই গোসলখানা মুলত দুই ভাগে বিভক্ত।



একটি পোশাক পরিবর্তনের জন্য। অন্যটি গরম পানিতে গোসল করার স্থান। মুসলিম স্থাপত্য শিল্পের এক অনন্য স্থাপনা এই গোসলখানা।

স্বর্ণখচিত এই বাথ হাউজে বেশিরভাগ টাইসলই হচ্ছে নীলকান্তমণি। 

আশ্চর্য ও অলঙ্কারময় টাইলস দিয়ে সুসজ্জিত এই গোসলখানাটি শুধু মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন নয় বর্তমানে একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। 

এই স্থাপত্যটি ইরানের জাতীয় জীবনে যেমন স্থান করেছে তেমনি ঐতিহাসিকভাবে খ্যাতিলাভ করেছে।

১.ভালবাসার নিদর্শন তাজহল (আগ্রা,ভারত)ঃ 

তাজমহল ভারতের উত্তর প্রদেশে আগ্রায় অবস্থিত একটি রাজকীয় প্রেম সম্পর্কিত সমাধি।

মুমতাজ মহল নামে পরিচিত মুঘল সম্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী আরজুমান্দ বানু বেগম তার স্মৃতির উদ্দেশে এই অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন যা ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন।

এই সমাধি সৌধটি নির্মাণ কাল ১৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দে যা পুর্ণতা পেতে সময় নিয়েছিলো ১৬৫৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত।

তাজমহল


মুঘল স্থাপত্যশৈলীর একটি আকর্ষণীয় নিদর্শন হিসেবে মনে করা হয় এই তাজমহল কে, যার নির্মাণশৈলীতে পারস্য, তুরস্ক, ভারতীয় এবং মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন এর সম্মিলন ঘটানো হয়েছে।

বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের অন্যতম তাজমহল যা ইউনেস্কোর বিশ্বঐতিহ্যের অন্যতম স্থান হিসাবে সম্মানিত হয়েছে।

তাজমহল বিশ্বের অপূর্ব সুন্দর স্মৃতিসৌধ ও মনোমুগ্ধকর নিদর্শন। ভালোবাসার অবিশ্বাস্য স্মরণীয় ভাস্কর্য।

অপূর্ব মুসলিম স্থাপত্য নিদর্শন  যা শান্তি ও সৌন্দর্যের প্রতীক।মুঘল সম্রাট শাহজান তার প্রিয়তমা স্ত্রীর প্রতি অগাধ ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসাবে এই স্থাপনা নির্ণমান করেছিলেন।

যা আজো বিশ্বের সকলদেশের মানুষের কাছে সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করে আছে।